দুই হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন এমপি নিক্সন

উপ-নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় সংসদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন জজকোর্ট। মঙ্গলবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মোল্লা এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দুই হাজার টাকার মুচলেকা নিয়ে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ তাকে জামিন দেন বলে জানিয়েছেন এমপির আইনজীবী।

নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করা অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার এদনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনের আবেদনের বিরোধিতা না করায় আদালত দুই হাজার টাকার বেলবন্ডে নিক্সনকে নিয়মিত জামিন দেন।

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলাটি করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় মামলাটি করেন চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী গত ৯ অক্টোবর সকালে মোবাইল থেকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে কল করেন। নির্বাচনে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি। তিনি বলেন, বেশি সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তার প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। এ ছাড়া নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশোভন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এ ছাড়া ১০ অক্টোবর নির্বাচনের দিন চরভদ্রাসন উপজেলার চর অযোধ্যা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ব্যক্তি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক হন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় নিক্সন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইলে কল করে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া নিক্সন নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী কাজে অংশ নিয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এমপি সমাবেশ ও মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে নির্বাচনী অচরণবিধি ভাঙেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান নিক্সন চৌধুরী। গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও কে এম জাহিদ সরোয়ারের আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেন।

আজ আদালতে নিক্সন চৌধুরী জামিনের আবেদন করেন।

জামিন পাওয়ার পর সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওই নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে করা মামলার গুরুত্ব হারিয়েছে কি না, আদালত সে বিবেচনা করবেন।

গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেরা পরিষদের চেযারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।