পাকিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণ

পাকিস্তানে ধর্ষণের শান্তি রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণ আইন পাস করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি দ্রুত বিচারের জন্য ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০ এর অনুমোদন দেন। নারী বা শিশুকে ধর্ষণে প্রমাণিত হলেই অভিযুক্তকে এ শাস্তি দেয়া হবে। এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন।

প্রেসিডেন্ট ভবনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যৌন নির্যাতনে শিকার নারীদের জন্য সারা দেশে বিশেষ আদালত গঠন করা হবে; যাতে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা যায়। বিশেষ আদালতকে চার মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে হবে।

এই আইনের অধীনে প্রধানমন্ত্রী ধর্ষণবিরোধী একটি সেল গঠন করবেন। যারা ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন।

এই অধ্যাদেশের আওতায় ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বা সরকারি কোনো কর্মকর্তা এ মামলার তদন্তে অবহেলা করবেন তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা বা পুলিশ মিথ্যা তথ্য দেন তাহলে তাদের একই শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুনরায় অপরাধীদের বোর্ডের মাধ্যমে রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণ করা হবে।

এর আগে নভেম্বরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে কেবিনট বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০ অনুমোদন দেয়া হয়।