জামিন পেলেন বিএনপি নেতা মীর নাছির

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

দুদকের করা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির এবং তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় আদালত মীর নাসিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাসির ও মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন।

একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেন।

ফলে তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকে। একই সঙ্গে তার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল থাকে। পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাকে জামিন দেন।