মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকা ও চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের দাবি

মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সচেতন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম পরিষদ। একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করারও দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আল শামস পরিবারের কোনো সদস্যকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ না দেওয়া এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কোনো সদস্যকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের কমিটিতেও স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের দলীয় পদ দেওয়া যাবে না। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের যেসব সদস্য আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন তাদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।’

তিনি বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পরও ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা বাস্তবায়ন করতে হবে।

জয়নাল আবেদীন বলেন, স্বাধীনতার পর সব সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই বৃদ্ধ বয়সে যাচাই-বাছাইয়ের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর যেন হয়রানি করা না হয় এজন্য জোর দাবি জানাই। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুদ বিহীন ১৫ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতি জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য সরকারি চাকরিতে যে ৩০ শতাংশ কোটা চালু করেছিলেন সেই কোটা পুনরায় বহাল করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বাবুল ও ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আহমেদ প্রমুখ।