যশোরে এনজিও কর্মকর্তা লাঞ্চিত : দুজন গ্রেফতার

jessore atok map

কিস্তির টাকা আনতে গিয়ে যশোরে আব্দুস সালাম (৩০) নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে আটকে রেখে মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঋণ গ্রহিতা ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়। এসময় পুলিশ আব্দুস সালামকে উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরআড়িয়ারা গ্রামের বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার ছোট শেখহাটির আব্দুল গফফার মোল্যার জামাতা বালাম শেখের ছেলে রাজু আহম্মেদ, একই এলাকার আলাউদ্দিন বাবুর ছেলে রাকিব। উদ্ধারকৃত এনজিও কর্মকর্তা উপশহরের ৭ নং সেক্টরের ১৫২ নং বাড়ির মনিরুল ইসলাম সরদারের ছেলে আহসানিয়া মিশন ঢাকার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বর্তমানে শহরতলীর উপশহরের ৭ নং সেক্টরের ১৫২ নং বাড়ির মনিরুল ইসলাম সরদারের ছেলে যশোরস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশন (ডিএফইডি) যশোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আব্দুস সালাম বাদি হয়ে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সংস্থার বিভিন্ন শর্ত মোতাবেক সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্যার মেয়ে নাসরিন (২৫) ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তে ঋণ নেওয়ার পর থেকে নাসরিন কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে নানা ভাবে তালবাহনা করতে থাকে। কিস্তির টাকা নেওয়ার জন্য বুধবার ৭ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় আব্দুস সালাম, নাসরিনের বাড়িতে যান। যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাসরিন তার স্বামী রাজু আহম্মেদ, আলাউদ্দিন বাবুর ছেলে রাকিব, নাসরিনের বাবা আব্দুল গফফার, রুবেল, তরিকুলসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন এনজিও কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে মারপিটের এক পর্যায় নাসরিনের ঘরে অবৈধভাবে আটকে রাখে। নাসরিণ নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকী ধামকী দেওয়ার এক পর্যায় টাকা দেবেনা বলে হুংকার দেয়। আব্দুল গফফার মোল্যা আব্দুস সালামের পকেটে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

আহত অবস্থায় আব্দুস সালাম বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার এরিয়া ম্যানেজার আসলাম উদ্দিনকে জানালে তিনি পুলিশের মাধ্যমে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে। এসময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।