যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ

নগর ও গৃহস্থালী বর্জ্য সংগ্রহে এনজিওদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল, অহরিজনদের নিয়োগ বাতিল, মজুরি বৃদ্ধি, চাকুরি স্থায়ীকরণ ও শ্রম আইন বাস্তবায়নসহ ৫দফা দাবিতে যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়ন দড়াটানায় শ্রমিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টায় যশোর দড়াটানা শহীদ চত্বরে এ শ্রমিক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়নের সভাপতি মতি লাল হরিজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপের যশোর জেলা আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা মাহবুবুর রহমান মজনু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা লাল সরকার, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের যশোর জেলা সভাপতি নাজিম উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান রাজেস, হরিজন ঐক্য পরিষেদের যশোর জেলা সভাপতি রাজেন বিশ্বাস ও হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভপতি মন্টু হরিজন, আনন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক কমল বিশ্বাস, বিষ্টু কুমার দাস, গোরাপাড়া আঞ্চলিক নেতা বাবলু দাস, ধর্মতলা আঞ্চলিক নেতা শ্রীরাম প্রমুখ। পরিচালনা করেন সহ-সম্পাদক হিরণ লাল সরকার।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ এনজিওদের দিয়ে পুনরায় পৌর এলাকায় বর্জ্য অপসারণে কাজে লাগাচ্ছে। এটি গত ২২ ডিসেম্বর মেয়র মহোদয়ের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র-৩ মহোদয় হাবিবুর রহমান চাকলাদার মনির সাথে আলোচনায় এনজিওদের কার্যক্রম রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান মর্মে সমঝোতা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুযায়ি এনজিওদের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ করার জোর দাবি জানান। একই সাথে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে সরকার প্রবিধান অনুযায়ি মজুরি বৃদ্ধি ও চাকুরি স্থায়ীকরণের জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, অনেক আগে থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে বাসাবাড়ির বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করে আসছে। বাসাবাড়ির এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এনজিওকে নিয়োগ দেওয়ায় পরিচ্ছন্ন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এনজিওদের নিয়োগ দেওয়ার আগে পৌর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কোন আলোচনা বা অবগত করেননি। এনজিওরা কাজে নামার পর আগে থেকে কাজ করা এইসব শ্রমিকদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে শহরের সকল অংশে কাজ বন্ধ রাখে। সে অবস্থায় যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের হস্তক্ষেপে প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান চাকলাদার মনি শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দেন যে, এনজিওরা কাজ করবে না এবং মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতিতে আলোচনা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে। এ ঘোষণার পর শ্রমিকরা পুনরায় সকলে কাজ চালু রাখে। কিন্তু অবদ্যাবধি সে আলোচনার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।