জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো জিকে শামীমকে

জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একাডেমিক ভবন নির্মানের কাজ হাতিয়ে নেয়া মামলায় আলোচিত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে জিকে শামীমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘জাল কাগজপত্র দিয়ে চবি’র ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের ৭৫ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ হাতিয়ে নিয়েছে জিকে শামীম। এ অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জিকে শামীমকে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’
জানা যায়, চবির ষষ্ঠ একাডেমীক ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট টেন্ডার আহবান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পায় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স (জিকেবিএল)। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মান কাজের সন্তোষজনক ভাবে সমাপ্তি সনদপত্র দেয়ার কথা। পাঁচ বছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইট অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেয়া হয়। দুদকের অভিযোগ-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে চুক্তির কাগজপত্র জমা দেয়া হয়নি। দুদক অনুসন্ধানে জানতে পারে অতি সূক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে চবির নির্মান কাজটি হাতিয়ে নেয়া হয়। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর দুদদ সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জিকে শামীম ছাড়াও আসামি করা হয় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার হন জিকে শামীম। নিজেকে যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা দাবি করে নির্মান সেক্টরের নানান প্রকল্প হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জিকে শামীম ঢাকার জি কে বি এন্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালিক।