এমসি কলেজে গণধর্ষণ, আদালত পরিবর্তনে রবিবার শুনানি হাইকোর্টে

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে ভিকটিমের স্বামীর হাইকোর্টে করা আবেদনের ওপর আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্বামীকে বেঁধে রেখে ও মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন। মামলায় এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত বছর ৩ ডিসেম্বর সাইফুর রহমানসহ ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ অবস্থায় আদালত পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে ওই গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ছাত্রাবাসের বর্তমান তত্ত্বাবধায়করা, মূল ফটক, ৫ ও ৭ নম্বর ব্লকে দায়িত্বরত প্রহরীদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে। প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করা হয়।