যশোরে সর্বপ্রথম টিকা নিলেন এমপি নাবিল

যশোরে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর তিন টা পর্যন্ত একার্যক্রম চলে। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ নিজে সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণ করে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি করোনা মহামারি প্রতিরোধের টিকা প্রদান কার্যক্রম সফল করার আহবান জানান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সভাপতিত্ব সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, করোনা মহামারী প্রতিরোধের পরিবর্তে এক শ্রেণির মানুষ অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি না ভেবে ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে ভাবছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। অথচ এই ভ্যাকসিন ইউকে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা করে সফল প্রমাণ হয়েছে। তাই গুজবে কান না দিয়ে আমাদের এই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংসদ সদস্যের টিকা গ্রহণের পর উপস্থিত যশোর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ তমিজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডাক্তার দিলিপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বি এম এ সভাপতি ডাক্তার কামরুল ইসলাম বেনু, মুক্তি যোদ্ধা, সেবিকা সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা করোনা টিকা গ্রহণ করেন।

যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত যশোরে নিবন্ধন করেছেন পাঁচ হাজার ১৫৪ জন। যাদের মধ্যে আজ প্রথম দিন দুই হাজার জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন শনিবার জানিয়েছিলেন, টিকা দেয়ার জন্য যশোরের ১১টি কেন্দ্রে ৩৬টি টিম কাজ করবে। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ১৫টি ও উপজেলা পর্যায়ে থাকবে ২১টি টিম। প্রতি টিমে দুইজন করে টিকাদানকারী সেবিকা ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ইতোমধ্যে কয়েক ধাপে টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রথম দিন সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে টিকা প্রদান করা হবে।

জানাযায়, ইতোমধ্যে যশোরে ৯৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা পৌঁছেছে। যা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। জেলায় ১৩৫টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একটি টিম কাজ করবে। ইউনিয়নে ৯১টি, সদর বাদে সাত উপজেলায় ২১টি, সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ১৫টি, পুলিশ হাসপাতালে দুইটি, সামরিক হাসপাতালে দুইটি ও সিভিল সার্জন অফিসে একটি টিম কাজ করবে। এর মধ্যে সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ৮টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসের একটি টিম রিজার্ভে থাকবে। প্রতি টিমে দিনে ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে।