বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের আহবান

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেনছেন, জাতির পিতার হাত দিয়েই এদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রের স্বর্ণালি সময় ফিরিয়ে আনার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর বেশি করে চলচ্চিত্র নির্মাণেরও আহবান জানান।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ শনিবার ঢাকায় মুজিব শতবর্ষ ও ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের আয়োজনে ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ৩ দিনব্যাপী জয়িতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ ও জীবনের কথা বলে। দেশীয় চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদন দিতে সারাদেশে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন জরুরি। নারী নির্মাতারাও যাতে আরও চলচ্চিত্রমুখী হয় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য ও জয়গাঁথা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে উৎসবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি দিলদার হোসেন, এস এস কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুমন ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি রাজু আলীম।

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা নারগিস আক্তার, শাহনেওয়াজ কাকলী ও নানজিবা খানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে কোহিনুর আক্তার সুচন্দার পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’, নারগিস আক্তারের ‘মেঘলা আকাশ’ , সামিয়া জামানের ‘রানী কুঠির বাকি ইতিহাস’, মৌসুমীর ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ , শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘উত্তরের সুর’ ও নানজিবা খানের ‘দা ওয়ান্টেড টুইন’। আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।