ট্রেক আবেদনের সময় বাড়িয়েছে ডিএসই

ফাইল ছবি

‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) আবেদনের সময় বাড়িয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আগামী রবিবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত নতুন ট্রেক নেয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

এর আগে ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) আবেদনের সময় নোটিশ অনুযায়ী ১৮ মার্চ ছিলো। যা আরও ১০ দিন বৃদ্ধি করে ২৮ মার্চ রবিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।

ডিএসই সূত্র মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কিম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে আইনের অধীনে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে সিকিউরিটিজ লেনদেন অধিকার সম্বলিত সনদ দেবে।

ট্রেক হলো পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের লেনদেন করবেন। এ হিসেবে ট্রেক অনেকটাই ব্রোকার হাউসের মতো। তবে ট্রেকের মালিকরা ব্রোকারেজ হাউসের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার পাবে না। এর আগে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি চুড়ান্ত করে কমিশন।

সূত্র মতে, প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে বলা হয়েছে-কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া দেশী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেক নিতে চাইলে তাদের পরিশোধিত মূলধন লাগবে ৫ কোটি টাকা। একই সাথে জামানত হিসেবে রাখতে হবে আরও ৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে ট্রেক নিতে চাইলে তাদের মূলধন লাগবে ৮ কোটি টাকা। জামানত হিসেবে রাখতে হবে ৪ কোটি টাকা।

বিদেশী প্রতিষ্ঠান এককভাবে নিতে চাইলে তার পরিশোধিত মূলধন লাগবে ১০ কোটি টাকা। জামানত রাখতে হবে ৫ কোটি টাকা।একই সাথে সার্বক্ষণিক নিট সম্পদের পরিমাণ পরিশোধিত মূল ধণের ৭৫ শতাংশের বেশি হবে না।

অন্যদিকে ট্রেক নেয়ার জন্য ডিএসইতে আবেদন করতে হবে এক লাখ টাকা দিয়ে। আবেদনের এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের বরাবর ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হলে তাকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ দিতে হবে আরও পাঁচ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, ট্রেক পাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।

গত ২৪ মার্চ ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০’ খসড়া করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য মতামত চায় বিএসইসি। এ খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। চুড়ান্ত আইনে এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউস) পাওয়ার অধিকার রাখেন।