তিন ম্যাচেই হার, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডের প্রত্যেকটি ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে হতাশা ছাড়া কিছুই নেই টাইগারদের জন্য। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুতে দুই রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমদের তোপে ওপেনার হ্যানরি নিকোলস (১৮) আর মার্টিন গাপটিল (২৬) হতাশ করলেও কিউইরা ঘুরে দাঁড়ায় ডেভন কনওয়ের ব্যাটে।

সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নাম রস টেইলরকে ৭ রানে ফেরান রুবেল, ১৮ রানে টম ল্যাথামকে ফেরান সৌম্য সরকার। দ্রুত উইকেট তুলে ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে আনলেও নিমেষেই শেষ হয়ে যায় ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেল। দুইজনের ১৫৯ রানের জুটিতে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে। দুইজনের জুটি ভাঙে মোস্তাফিজের বলে কনওয়ের ১২৬(১১০) রানে বিদায়ে।

তবে মিচেল খেলেছেন হাত খুলে। যেন যেমন খুশি তেমন খেলো। ৯৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে হতাশায় ভাসান। মিচেল সেঞ্চুরির জন্য কৃতিত্ব দিতে পারেন মুশফিকুর রহিমকেও।

৯৮ রানে থাকা মিচেলের সেঞ্চুরি পেতে ইনিংসের শেষ বলে লাগত ২ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের বল ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় সৌম্য সরকারের থ্রো তালুবন্দী করতে পারেননি মুশফিক। তাতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন মিচেল। তাতে কিউইরা সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩১৮ রান।

বাংলাদেশের রুবেল হোসেন ৩টি ও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ, তাসকিন এবং সৌম্য।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউই পেসারদের গতির ঝড়ের কবল থেকে বেরুতেই পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাট হেনরির বলে ১ রান করে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল।

সৌম্য সরকারও ১ রান করে বিদায় নেন হ্যানরির বলেই। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে লিটন দাস যখন বিপদ সামলাতে ব্যস্ত তখনই হ্যানরির বলে আচমকা এক ক্যাচ লুপে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২১ রান করে ফিরতে হয় সাজঘরে।

মোহাম্মদ মিঠুন এদিন খেলেছেন টেস্ট মেজাজে। ৩৯ বলে ৬ রান করে ক্যাচ দেন জেমিনসনের বলে। মুশফিকুর রহিমও মনে করিয়ে দেন, সফরে টেস্ট ম্যাচ রাখার কথা। ৪৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন জিমি নিশামের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে।

এরপর নিশামের মেহেদি মিরাজ ০(১) ও মাহেদি হাসান ৩(৮) রান করে সাজঘরে ফিরলে মাহমুদউল্লা লড়াই চালান হারের ব্যবধান কমানোর। রুবেল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তুলে নেন অর্ধশতক।

রুবেল ২৮ বলে ৪ রান করে বিদায় নিলে মোস্তাফিজুর থিতু হতে পারেননি। তার বিদায়ে ৭৬ (৭৩) রানে অপরাজিত থেকেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪২.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে তুলে বাংলাদেশ। ১৬৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা।