আলিয়া ভাটের নামে মামলা

বলিউডের অভিনেত্রী আলিয়া ভাট দারুণ সময় পার করছেন ক্যারিয়ারে। খুব অল্প সময়েই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন তূখোড় একজন অভিনেত্রী হিসেবে। বাবা কিংবা কোনো আত্মীয়ের জোরে নয়, তিনি যে নিজের যোগ্যতা ও অভিনয়ের দক্ষতায় এগিয়ে তারও প্রমাণ দিয়েছেন।

তার কাজগুলো নিয়ে ভক্ত-দর্শক তো বটেই, ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাও দারুণ আগ্রহী। সর্বশেষ তিনি প্রশংসায় ভেসেছেন সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’ সিনেমার পোস্টার ও ফার্স্ট টিজারে হাজির হয়ে। ছবিটি আলিয়ার ক্যারিয়ারে সাফল্যের নতুন পালক যোগ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

কিন্তু এই সিনেমার জন্যই নায়িকার ভাগ্যে জুটলো মামলা। গাঙ্গুবাঈয়ের মানহানি করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলাটি করেছেন গাঙ্গুবাঈয়ের দত্তক ছেলে হিসেবে দাবি করা বাবুরাওজি শাহ।

ভারতের বেশ কিছু গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে, মুম্বাইয়ের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার সঙ্গে আসামির তালিকায় আছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি ও চিত্রনাট্যকারও।

সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২১ মে তাদের আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

বাবুরাওজির অভিযোগ, ‘বইয়ে গাঙ্গুবাঈকে নিয়ে যে অধ্যায় লেখা হয়েছে সেটি মানহানিকর। এর মাধ্যমে তার খ্যাতিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। উপন্যাসে বাবুরাওজির মৃত মায়ের গোপনীয়তা ও আত্মসম্মানের অধিকারের লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই সঞ্জয় লীলা বানসালি যে উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সেটিও মানহানিকর। আলিয়ার উচিত ছিলো এই চরিত্রে অভিনয়ের আগে সতর্ক থাকা।’

জানা যায়, প্রথমে বাবুরাওজি শাহ মুম্বাই সিভিল আদালতে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। সেখানে উপন্যাসটি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পাশাপাশি সিনেমার ট্রেলার যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্যও তিনি আবেদন করেন।

তখন আদালত জানান, বইটি প্রকাশ হয়েছে ২০১১ সালে। তিনি অভিযোগ করেছেন ২০২০ সালে। এ ছাড়া গাঙ্গুবাঈয়ের দত্তক ছেলে হিসেবেও তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পরে তিনি মুম্বাইয়ের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন।