লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ নেই: কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, করোনা আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তাদের অপকর্ম, লুটপাট ও গরিবের ওপর অত্যাচারের কারণে খোদার গজব করোনা রোগ আল্লাহ দিয়েছেন। এটা থেকে রক্ষার জন্য সবাই নামাজ-রোজা করা উচিত। অন্যরা নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম পালন করা উচিত।

তিনি বলেন, লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ নেই, কেউ লকডাউন মানে না। সাবান পানি নেই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই, মাস্কও পরে না, কিসের লকডাউন? দুইবার টিকা দেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। লকডাউন না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করাই উচিত। আল্লাহ রক্ষা করলে আমাদের রক্ষা করতে পারেন।

মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ কার্যালয় বসুরহাট পৌরসভা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বড় লোকেরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করছেন। তাদের অঢেল টাকা আছে। গরিব মানুষের তো কোনো উপায় নেই। সড়ক মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ সচিব বেলায়েত ঠিকাদারদের থেকে চাঁদাবাজি করে ওই টাকা লন্ডনে তারেক জিয়ার জন্য পাঠায়। যারা দুর্নীতি করে তারা এখন আমার কাছে ম্যাসেজ পাঠায়, ওদের সঙ্গে আমার কোনো আপস নেই। এদের সঙ্গে আমি আপস করি কীভাবে।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, গত তিন মাস পর্যন্ত আমার ওপর জুলুম চলছে, কোনো বিচার পাচ্ছি না। এখন ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ পাঠায় তারা। এসব দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আমার কোনো আপস নেই। এখানে প্রশাসন দুর্নীতি ও ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা চলে যাবে। কিসের এসব জরিমানা। আমি জনগণের সঙ্গে আছি থাকব। পুলিশের ছত্রছায়ায় এখন আবার এখানে মাদক ব্যবসা ও নারী ব্যবসাসহ সব অপকর্ম চলছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, খিজির হায়াত ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসির দপ্তরে যান। তার পকেটে প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখা যায়। এই এলাকায় এখন কোনো অভিভাবক নেই। অভিভাবক থাকলে এই এলাকায় এত অরাজকতা চলত না।

তিনি আরও বলেন, আমার ত্রাণ দেয়া শেষ, এখন আমি নগদ টাকা বিতরণ করছি। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেন না বাড়ে। কেউ দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রশাসন যদি কিছু না করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমি প্রতিরোধ করব।