অর্ধযুগে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়

আজ ১১মে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এ বিদ্যাপীঠের অবস্থান কুষ্টিয়া জেলার প্রাণকেন্দ্রে।

কোভিড পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : এইদিন বেলা ১১ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি উদ্ধোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়। এর পরেই অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন আলোচনা সভা।

তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে বর্তমানে মোট ৫টি অনুষদের (কৃষি, আইন, সমাজ বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসন) বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক(সন্মান) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মানসম্মত পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড.জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ মান অক্ষুণ্ন রেখে নৈতিক গুণাবলী সমৃদ্ধ প্রকৃত মানুষ তৈরী করাটাই হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কাজ। যারা তাদের সৃষ্টিশীলতা এবং অর্জিত জ্ঞান দিয়ে রুপান্তরিত হবে দক্ষ জনশক্তিতে, নেতৃত্ব দেবে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দেশে এবং দেশের বাইরে। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে “Learning, Creating and Leading”।

প্রথিতযশা অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ এবং সংশ্লিষ্টতায় এই বিদ্যাপীঠ ইতোমধ্যেই পেয়েছে মানুষের আস্থা, হয়ে উঠছে অনন্য থেকে অনন্যতর এবং লালন করছে নিজেস্ব স্বকীয়তা। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের আসন অলংকৃত করছেন যথাক্রমে প্রবীন অধ্যাপক ড.শাজাহান আলী এবং সহকারী অধ্যাপক ড.ইসমত আরা; এছাড়া ট্রেজারার হিসেবে কর্মরত আছেন অধ্যাপক ড.মোঃ মামুন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছে জানানো হচ্ছে।