কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে ৬০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

world bank

দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারী, তরুণ ও বিদেশফেরত শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক। এই ঋণ দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের হেড অফিস এই অর্থের অনুমোদন দেয়। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণের অর্থ যুব, মহিলা ও সুবিধাবঞ্চিত কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং জীবিকার সুযোগ উন্নত করতে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারী, তরুণ ও বিদেশফেরত শ্রমিকসহ সাড়ে ১৭ লাখের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। এই ঋণ পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।

মোট ঋণের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০ কোটি ডলার দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে ১০ লাখের বেশি তরুণ ও বিদেশফেরত শ্রমিক ভবিষ্যত গড়তে কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বা মহামারির পর শ্রমবাজারে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে তরুণ, নারী ও প্রতিবন্ধী সুবিধাবঞ্চিতরা এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ পাবেন।

বিশ্ব ব্যাংকের ‘ত্বরণ এবং দক্ষতা শক্তিশালীকরণ মাধ্যমে অর্থনৈতিক রূপান্তরকরণ (এএসএসইটি)’ শীর্ষক প্রকল্পে বাকি ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। বিশ্ব ব্যাংকের এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি যুব, মহিলা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা করা হবে। প্রকল্পটি মহামারির সময় এবং তার পরে শ্রমিকদের পুনরায় প্রশিক্ষণ দিতে এবং এভাবে অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারের শিল্পগুলোকে সহায়তা করবে।

এছাড়াও প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০টি জেলার ৩ হাজার ২০০ গ্রামের ৭ লাখ ৫০ হাজার দরিদ্র ও দুর্বল গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বে থাকা বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রকল্পের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষ, বিশেষত তরুণ, নারী শ্রমিক ও বিদেশফেরতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের জন্যে প্রস্তুত করা হবে।

প্রকল্পটির বিশ্বব্যাংক টিম লিডার জ্যান সেন্ট-জিউর্স বলেন, প্রকল্পটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগণকে জরুরিভিত্তিতে কোভিড-১৯ মহামারির ভবিষ্যৎ ধাক্কা মোকাবিলায় তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করবে। এছাড়া আয়-উৎপাদনমূলক কার্যক্রম এবং দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।