পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ

kazi papul mp
ফাইল ছবি

সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কুয়েতের কারাগারে বন্দি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) এই আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী রিট আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নন। তাই তাঁর রিট আবেদন করার এখতিয়ার নেই। একারণে তাঁর রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করা হলো।

পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর বোন নুরুন্নাহার বেগম গত মার্চে রিট আবেদন দাখিল করেন। গতকাল সোমবার (৭ জুন) ওই রিট আবেদনের ওপর শুনানি করা হয়। রিট আবেনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। এ অবস্থায় আজ রিট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দিলেন আদালত।

জাতীয় সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্যপদ বাতিল করে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে জাতীয় সংসদ সচিবালয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট জারি করে।

পরে নির্বাচন কমিশন ওই আসনে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন ওই আসনে ভোটগ্রহণের কথা।

গতবছর ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে পাপুল কুয়েতের কারাগারে বন্দি। এ অবস্থায় গত ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। ওই রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে পাপুলের সংসদীয় আসন কেন শূন্য ঘোষণা প্রশ্নে একটি রিট আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন।