‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে’

‘আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।’

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ রবিবার (১৩ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেরও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভেরিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবে, শুধু সেখানেই হাট বসবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেওয়া হবে না।’

শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মতো জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান মন্ত্রী।

‘দেশের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে’ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

কোনো অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সেজন্য স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক এবং রেল লাইনের উপর কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার উপর পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগ এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেওয়া যাবে না।’

কোরবানি দেওয়ার পর পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়রসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা স্ব স্ব উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন।’

তাজুল ইসলাম আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এ বছরও এটি করা হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারনা চালাবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সব সিটি করপোরেশন মেয়রদের মন্ত্রী জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনদুর্ভোগ কমাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।