পেরুর বিপক্ষে ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ব্রাজিল

আগামী শুক্রবার কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে পেরুর বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ব্রাজিল। ২০১৯ সালের ফাইনালের পর রিও ডি জেনেইরোতে পেরুর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সেলেসাওরা।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার মিশনে নেমেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই স্বাগতিক দলের গায়ে লেপ্টে গেছে ফেভারিটের তকমা। জয় দিয়ে উড়ন্ত সুচনা দিয়ে ওই অবস্থানকে আরো সংহত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

অবশ্য এ গ্রুপ ভুক্ত বাকী চার দলের মধ্যে একমাত্র পেরুই ইতিবাচক লক্ষ্য নিয়েই এবারের কোপা আমেরিকার মিশন শুরু করতে যাচ্ছে। এই যাত্রায় তাদের সঙ্গেী হয়েছে কিছু আত্মবিশ্বাস। জুনের শুরুতেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরকে হারিয়েছে পেরু। জয়ের ধারায় ফেরা আত্মবিশ্বাসী দলটিই শুক্রবার কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ক্রিস্টিয়ান কিউভা ও লুইস অ্যাডিনকুলা গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিল পেরুকে। শেষভাগে এসে ইকুয়েডরের হয়ে গঞ্জালো পালাতা একটি গোল পরিশোধ করলেও হার এড়াতে পারেনি দলটি। ফলে লা ব্লাঙ্কিরোজাদের বিপক্ষে পয়েন্ট লাভ করা সম্ভব হয়নি তাদের।

এর ধারায় পরাজয়ের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় পেরু। কারন এর আগে ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার কাছে পরপর ম্যাচ হেরেছে রিকার্ডো গারেসার শিষ্যরা।

আসরে গ্রুপের সেরা তৃতীয় স্থানধারী হিসেবে কোয়ালিফাই হয় পেরু। টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে হারানোর পর চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলের চোখ ধাঁধানো জয় নিয়ে চুড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়েছিল দলটি।

রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অবশ্য কোচ তিতের অনুসারি ব্রাজিলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পেরু। ২৩ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে গোলের সূচনা করেন মারকুইনহোস। নেইমারের পেনাল্টি গোলে দ্বিগুন ব্যবধানে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে তৃতীয় গোলটিও করেছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) তারকা স্ট্রাইকার। ফলে নবম ট্রফি হিসেবে ২০১৯ সালের শিরোপা ঘরে তুলে ব্রাজিল।

আসরের সেমি-ফাইনালে গাব্রিয়েল জেসুস ও রবার্তো ফিরমিনোর গোলে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। এরপর ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেরুকে পায় স্বাগতিক দল।

এবারের আসরে ব্রাজিলকে ফেভারিট না ভাবার কোন সুযোগ নেই। তারা আশা করছে শুক্রবার আরো একটি ম্যাচ জয়ের। যার ফলে শেষ আটের আসন নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। ব্রাজিলের লক্ষ্য শিরোপা অক্ষুন্ন রাখা।

এদিকে পেরুর একাদশ গঠন নিয়ে মধুর সংকটে রয়েছেন পেরুর কোচ গারেসা। তরুন মেধাবিদের জায়গা দিতে গিয়ে বাদ দিতে হতে পারে রাউল রুডিয়াজ ও পাওলো গুয়েরেরের মত অভিজ্ঞদের। বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরার অপেক্ষায় রয়েছে স্কোয়াডের তরুন সদস্যরা।

ব্রাজিল দলেও রয়েছে তারকাদের ছড়াছড়ি। কোচ তিতেও চাননা নিজ দলের শক্তির হেরফের ঘটাতে। গত ম্যাচের গোল দাতা ও যোগান দাতা নেইমার এই ম্যাচেও থাকছেন আক্রমনভাগের অগ্রসৈনিক হিসেবে। তার সহযোগিতার জন্য থাকছেন রিচালিসন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। আর রক্ষনের চারের কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন রিয়াল মাদ্রিদদের এডের মিলিটাও এবং পিএসজির মারকুইনহোস। তাদের সহায়তায় থাকছেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা কাসিমিরো।