আবু ত্ব-হাকে নিয়ে যা বললেন সিয়ামের মা

আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান আত্মগোপন করেন তার বন্ধু সিয়াম ইবনে শরীফের বাসায়। সিয়ামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর গ্রামে। তবে ত্ব-হা গাইবান্ধায় তার বাড়িতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি জানতেন না বলে দাবি করেছেন সিয়াম।

৭ দিন ধরে সিয়াম ইবনে শরীফের বাসায় আবু ত্ব-হা ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি এখনো অনেকের কাছে রহস্যজনক। এ বিষয়ে কথা বলেন সিয়ামের মা নিশাত নাহার।

তিনি জানান, ত্ব-হা এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তখন এখানে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে ইসলামি বিষয়ে ধর্মীয় আলোচনা করতেন। তার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক কথাবার্তা শোনা যায়নি। তবে ত্ব-হা এবারে এ বাড়িতে এসে একেবারে নীরব ছিল। কোথাও সে বের হয়নি।

তিনি জানান, সাত দিন এখানে থাকার পর সে রংপুরে তাদের বাড়িতে চলে যায়।

সিয়ামের মা নিশাত নাহার জানান, ত্ব-হা এবং তার ছেলে সিয়াম ছোটবেলার বন্ধু। তারা রংপুরে একই স্কুলে লেখাপড়া করতো। তারা একসঙ্গে এসএসসি পাস করে।

সিয়ামের বাবা শরীফ নেওয়াজ রংপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। সে উপলক্ষে সিয়ামের মা নিশাত নাহারও তার একমাত্র সন্তান সিয়ামকে নিয়ে রংপুরে থাকতেন। বর্তমানে তার ছেলে রংপুরে একটি মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত।

তিনি বলেন, সিয়ামকে আমি যতদূর জানি সে একজন ভালো ছেলে। সে ইসলামি দর্শন নিয়ে চর্চা করে। সিয়ামের বাবার চাকরি শেষ হওয়ার পর নিশাত নাহার গাইবান্ধায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ১৫ মাস আগে সিয়ামের বাবা মারা গেছেন।

নিশাত নাহার জানান, সিয়ামের বাবা বেঁচে থাকতেই ত্ব-হা এ বাড়িতে বেশ কয়েকবার আসা-যাওয়া করেছে। তার মধ্যে আমরা খারাপ কোনকিছু দেখিনি।

তিনি বলেন, তার ছেলের বন্ধু কোনো বিপদে পড়েনি কোনো অসৎ সংসর্গে যায়নি এটাই আমার পরম তৃপ্তি।

তবে সাধারণ মানুষের মাঝে সিয়ামদের এ বাড়িতে ত্ব-হার আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিয়ে এখনো কৌতূহলের শেষ নেই। তাদের মধ্যে একটি প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে- সাত দিন ত্ব-হা কেন এখানে ছিল। কেউ তার অবস্থান সম্পর্কে আগে কেন জানেনি- এই প্রশ্ন এখন এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ১০ জুন ঢাকা আসার পথে তিন সঙ্গীসহ উধাও হয়ে যাওয়া ত্ব-হা সাত দিন ছিলেন সিয়ামের গাইবান্ধার বাড়িতে। শুক্রবার ফিরে আসার পর প্রথমে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয় ত্ব-হাকে। পরে ওই দিন রাতেই তাকে রংপুরের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আলোচিত এ তরুণ বক্তা। বিচারক তরুণ ইসলামি বক্তা ত্ব-হার জবানবন্দিতে সন্তুষ্ট হয়ে তার মায়ের জিম্মায় মুক্তি দেন।