মোবাইল গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হন: মোস্তাফা জব্বার

mostofa zobbar
ফাইল ছবি

ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি প্রক্রিয়ায় জনগণ যেন কোনো অবস্থাতেই হয়রানির শিকার না হন, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

গ্রাহকদের নিরাপত্তা, অবৈধ মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

এই প্রক্রিয়ায় সব মোবাইল ফোন বিটিআরসির ডাটাবেজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং তিন মাস পর্যন্ত অবৈধ ফোনগুলোকে সময় দেয়া হবে। পরবর্তীতে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, ওই সময় পরে বন্ধও হয়ে যেতে পারে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সিমের সাথে মোবাইলের আইএমইএ নম্বরটি নিয়ে রাখছি, যাতে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা যায়। যারা সমাজকে নিরাপদ রাখতে চান তাদের জন্য একটি হাতিয়ার তৈরি করে রাখছি। দুর্বলতার ফাঁক দিয়ে যারা অপরাধ করছে, রাজস্ব ফঁকি দিচ্ছে বা অবৈধ মোবাইল আমদানি করছে তা যেন বন্ধ করা যায়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়। জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এর সুফলগুলো দেখতে পায়, স্বচ্ছ ও চমৎকারভাবে যেন মোবাইল নিবন্ধন করতে পারে, কোনোভাবেই যেন জনগণের কাজে সামান্য ভোগান্তি হয়, সেই ব্যবস্থা না করি।

অভিযোগ যেন না উঠে কল করেছে ধরিনি বা সমস্যা সমাধান করিনি। অপরাধীকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। তেমনি যারা ভুল করে তাকেও সহজেই চিহ্নিত করা যায়।  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা টেলিফোনকেন্দ্রিক অপরাধ এবং অন্যান্য অপরাধের খবরাখবর পেয়ে থাকি। আমাদের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষকে এর শিকার হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখার জন্য যা যা করার তা করছি। সারা বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক থেকে যা করছে আমরাও তা করছি। সেজন্য আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপরাধের জন্য। টেলিফোন জগৎ যেমন বিস্তৃত হয়েছে তেমনি এর সাথে অপরাদের জগৎটাও বেশ বিস্তৃত হয়ে গেছে। এই বিস্তৃত জগৎকে যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তাহলে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্র কোন কোন সময়ে বিপন্ন অবস্থার মধ্যে পৌঁছে যাবো।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, অপনারা প্রায় লক্ষ্য করছেন মোবাইল ছিনতাই বা চুরি হওয়া—এটা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, প্রায় প্রতি মুহূর্তে কোথাও না কোথাও এই ঘটনা ঘটে। আমাদের আসলে চোরেরা দেখে না কার জিনিস চুরি করছে। আমাদের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেরই এই ঘটনার শিকার হতে হয়।

এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে আমরা চুরি রোধ করতে পারবো। একই সাথে আমাদের রাজস্ব খাত বড় ধরনের সহয়তা পাবে। কোনো রাষ্ট্র চোরাচালানিকে উৎসাহ দিতে পারে না। কেউ চোরাচালানি করে রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, সেটা করতে দেওয়া যায় না। এটি চালু করার সময় এই বিষয়টি মাথায় ছিল।

তিনি বলেন, নিবন্ধনের বাইরে সব সেট বন্ধ করে দিচ্ছি তা না। যে সেটগুলো মানুষ ব্যবহার করছে সেগুলো নিবন্ধন শেষ করে একটি নির্দিষ্ট সময় দেয়া, বৈধ-অৈবৈধ সেটগুলো কোনটি চালু থাকবে তা অনেক পরে চিন্তা করবো।