কোপার ফাইনালে উঠলো ব্রাজিল

আসরের প্রথম সেমি-ফাইনালে পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেলো ব্রাজিল। ম্যাচ জিতলো ১-০ গোলে। সেলেসাওদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন লুকাস পাকুয়েতা। ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় কোপার ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল।

রিও ডি জেনেরিওতে ব্যাকফুটে ব্রাজিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে শুরুর একাদশে ছিলো না গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর তিতে রাখেননি রবার্তো ফিরমিনোকে। তাদের জায়গায় এভারটন আর পাকুয়েতায় ভরসা সেলেসাওদের। অন্যদিকে ৪৯ ম্যাচে ৩৫ বারই হারতে হয়েছে যাদের বিপক্ষে, তাদের সঙ্গে অনুমিতভাবেই কিছুটা রক্ষণাত্মক রিকার্ডো গারেকা।

খেলা শুরুর আগে এক মিনিটের নীরবতা। বিশ্বজুড়ে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করা হিরোদের স্মরণে নিশ্চুপ সম্মাননা কনমেবলের। কিক অফ থেকেই আক্রমণে যেতে চেয়েছিলো পেরুভিয়ানরা। তবে মধ্যমাঠে ক্যাসিমিরো-ফ্রেডদের টপকে বল নিয়ে এডারসনের কাছে যাওয়া হয়নি তাদের।

উল্টো ৮ মিনিটে প্রথম গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলো ব্রাজিল। পাকুয়েতার ফার্স্ট টাচে অন টার্গেটে বল রাখতে পারেননি নেইমার জুনিয়র।
১৩ মিনিটে সেট পিস থেকে ভয় ধরে গিয়েছিলো পেরু শিবিরে।

ক্যাসিমিরোর শট প্রথম ধাপে ধরতে না পারলেও পরে দলকে নিজেই বাঁচিয়ে দেন গ্যালাসি। তবে এখানেই থেমে থাকেনি ব্রাজিল, আক্রমণের পসরা সাজায় নেইমার-রিচার্লিসনরা। কিন্তু ১৮ থেকে ২০ মিনিটে দুইবারই হলুদ শিবিরকে গোলবঞ্চিত করেন পেরুর গোলরক্ষক।

অবশেষে ডেডলক ভাঙে ৩৪ মিনিটে। পাল্টা আক্রমণ থেকে ডায়াগোনাল বল পান নেইমার। একক প্রচেষ্টায় নিয়ে যান প্রতিপক্ষের ডি বক্সে। সেখানে ‌ওঁৎ পেতে থাকা পাকুয়েতার শটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বোকা বনে যান গ্যালাসি।

বিরতি থেকে ফিরে দুই পরিবর্তনে ভিন্ন মুডে পেরু। আক্রমণে উঠে পরিকল্পিতভাবে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো না নাম্বার নাইন, লাপাদুলার। এডারসনে রক্ষা পায় ব্রাজিল। ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া গার্সিয়ার শট ফিরিয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধ্বে গোল বাঁচানোতেই বেশি সময় কাটে তিতে শিষ্যদের। মাঠ গুছিয়ে তেমন কোন আক্রমণই করতে পারেননি নেইমার-ক্যাসিমিরোরা। যাও দু-একবার বল পায়ে পেয়েছে ব্রাজিল, পেরুর মারমুখী আচরণে ভেস্তে যায় সেগুলোও।

শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ্বের দেওয়া ওই এক গোলেই রক্ষা পায় ব্রাজিল। নুন্যতম ব্যবধানের জয়ে উঠে যায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে। ২০১৯ এর পর আবারও হলুদ রঙ-এ কপাল পোড়ে পেরুর।