চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে: মিম

বিদ্যা সিনহা মিম, ঢাকাই সিনেমার প্রথম সারির নায়িকা। কাজ করছেন ২০০৭ সাল থেকে। সুন্দরী অন্বেষণের প্রতিযোগিতা লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার দিয়ে তার পথচলা শুরু হয়েছিল। তবে সিনেমায় যাত্রাটা হয় ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে। এটি নির্মাণ করেছিলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ।

অবশ্য এর আগে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন মিম। সেটিও ছিল হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায়। নাটকটির জন্য মিমকে দেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার টাকা সম্মানী। মিম জানান, সেই প্রথম সম্মানী তিনি এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছেন।

সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ সে কথাই শেয়ার করলেন মিম। তিনি জানান, চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। একবার সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ে যান তিনি।

মিম বলেন, অনেকের ধারণা শোবিজে আমার যাত্রা অনেকটা এলাম-দেখলাম-জয় করলামের মতো। শুরুর দিকে আমাকেও অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের বিজয়ী হওয়ার আগে মায়ের সহযোগিতায় দুই বছর মিডিয়ায় কাজ করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।

এমনকি একটি নাটকে অভিনেতা জাহিদ হাসানের বোনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। তখন থেকেই নিশ্চিত ছিলাম, যদি অভিনয় করতেই হয় প্রধান বা নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করবো। কাকতালীয়ভাবে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র আমার আছে জল’র অন্যতম নায়ক হিসেবে জাহিদ হাসানকেই পেয়েছিলাম।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী মিম আরও জানান, শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, টিভি নাটকেও সর্বোচ্চ শ্রম, আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করতেন তিনি। মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’ নাটকে অভিনয়ের জন্য সাইকেল চালানো শিখেছিলেন। কুমিল্লায় মাঝ রাস্তায় সাইকেল প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী।

ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে মিম এখন অভিনয় প্রধান চরিত্রের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। চরিত্র ভালো লাগার কারণে ‘নট হার ফল্ট’ স্বল্পদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্রে বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন। ‘সাপলুডু’, ‘পরাণ’, ‘দামাল’, ‘ইত্তেফাক’, ‘অন্তর্জাল’সহ সাম্প্রতিককালের কাজগুলোতে নায়িকা মিমের চাইতেও অভিনেত্রী মিমকেই বেশি দেখা যাবে বলে দাবি তার।