বেনাপোলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই

বেনাপোল বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা সহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাজার এর চুরিপট্রিতে এই অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা ফায়ার সার্ভিস এর টিম কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

এসময় তাদের বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করে।এই অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৪ টি দোকানের মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। দোকান গুলির মধ্যে রয়েছে ৭ টি কসমেটিক্স দোকান, একটি কাপড়ের , একটি বীজ ভান্ডার ও ৫টি মুদি দোকান।

আগুনের সুত্রপাত একটি চায়ের দোকান থেকে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা পরিদর্শন করেছেন। শনিবার ভোর পনে ৬ টার দিকে বেনাপোল বাজারের চুড়িপট্রির মধ্যে তোতা মিয়ার চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আগুনের লেলিহান চারিদিকে দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়লে ৬.১৫ টার সময় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস এর দল এসে অগ্নি নির্বাপকের কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘন্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে খুব ভোরে এ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ার কারনে অনেক দোকানদার ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারেনি।

আশে পাশের অনেক দোকানদাররা তাদের মালামাল জীবনের ঝুকি নিয়ে বের করে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের উপর জড়ো করে। বাজারের চুড়িপট্টির কাপড় ব্যবসায়ি ও রজনী বীজ ভান্ডার এর মালিক ছলেমান
বলেন আমার নগদ টাকা সহ ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদ বাজার ধরার জন্য নতুন কাপড় তুলে ছিলাম দোকানে। এছাড়া ঢাকায় আরো নতুন মাল আনার জন্য দোকানের মধ্যে নগদ ৫ লাখ টাকা রেখেছিলাম তাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার দুটি দোকান পুড়ে শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ দিন লকডাউনের বন্ধ থাকায় দোকানগুলিতে মালামাল মজুদ ছিল। এছাড়া ঈদের বাজার ধরার জন্য নতুন নতুন মালামাল ও তুলে ছিল দোকানে। দোকানের মালিকরা লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন বসে থেকে গত দুইদিন দোকান খুলেছে ঈদ বাজার এর ব্যবসা করার জন্য।

সে আসা পুর্ণ হলো না। তাদের সব আশা আকাঙ্খা শেষ হয়ে গেছে দোকান পুড়ে যাওয়ায়। এর মধ্যে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে বলেও জানায়। দোকানদার আবু রায়হান জানায় তার দোকানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার

কসমেটিক্স পণ্য ছিল। ব্যাংক লোন রয়েছে। কোথা থেকে কি করব ভেবে পাচ্ছি না । বেনাপোল বাজার কমিটির সেক্রটারী ও বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যন বজলুর রহমান বলেন, আনুমানিক কয়েক কোটি টাকার পণ্য ও নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়েছে।সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান।

তবে আগুন আরো দ্রুত নিয়ন্ত্রনে এসেছে বাজারের পাশে একটি খাল ছিল। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট পানি সংগ্রহ করতে পেরেছে। বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন দেবনাথ বলেন আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ৬.১৫ টার সময় পৌঁছিয়ে কাজ শুরু করি।

প্রায় দুই ঘন্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছি। আগুনের সুত্র পাত কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে হবে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা বলেন, কি ভাবে আগুন এর সুত্র পাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে এই মুহুর্তে বলা সম্ভব না।