পরীমণির ৬ গরু কোরবানি হবে এফডিসির বাইরে

actor

এবার এফডিসিতে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ। তাই এফডিসির বাইরে ছয় গরু কোরবানি দিচ্ছেন হালে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার সমকালকে পরীমণি বলেন, এফডিসিতে কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই এফডিসির বাইরেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রতি বছর এফডিসিতে সহশিল্পীদের জন্য গরু কোরবানি দেন পরীমণি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও এফডিসিতে ৬টি গরু কোরবানি দেবেন বলে সপ্তাহ খানেক আগে ঘোষণা দেন পরী।

কিন্তু পরে এফডিসির অভ্যন্তরে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করে এফডিসি কর্তৃপক্ষ। তাই এফডিসির বাইরে ছয় গরু কোরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ নায়িকা।

পরী বলেন, কোরবানি যেখানেই হোক মাংস এফডিসিতে যাবে। সব মাংস সহশিল্পীদের মধ্যে যারা অসহায় ও আর্থিক অনটনে আছেন তাদের মাঝে বিলি করবেন তিনি।

নায়িকা পরীমণি বলেন, কোরবানির জন্য ছয়টি গরু কিনেছি। গরুগুলো এফডিসির সামন রাখা আছে। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দেওয়া হবে। পরে মাংস বিতরণ করবো।

এফডিসিতে প্রথমবার একটি গরু কোরবানি দিলেও পরের বছর দুইটি এবং তার পরের বছর তিনটি গরু কোরবানি দেন পরীমণি। গেলো বছর এফডিসিতে ৫টি গরু কোরবানি দিয়েছেন এ নায়িকা। আর এবার দিচ্ছেন ছয়টি গরু।

পরীমণি বলেন, আগেই বলেছি এফডিসি আমার পরিবার। যতদিন বেচেঁ আছি সামর্থ থাকা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য কোরবানী দিয়ে যাবো।

পরীমণি বলেন, পাঁচ বছর ধরে এফডিসিতে কোরবানি দিচ্ছি। এবার ছয় বছর হবে। তাই ছয়টি গরু কোরবানি দেব। প্রতি বছর একটি করে গরু বাড়াব ইনশা আল্লাহ।

তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ আগে নানুর বাড়িতে করতাম। আমি জানতাম না চলচ্চিত্রের অনেক কলাকুশলী মানবেতর জীবন যাপন করেন। জানার পর থেকে এফডিসিতে কোরবানি দিই। যারা কোরবানি দিতে পারেন না, তাদের জন্যই এই উদ্যোগ।

পরীমণি এখন ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়িকা। ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। বাংলাদেশের একমাত্র তারকা হিসেবে জনপ্রিয় মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের ‘এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকা’র তালিকায় স্থান পান পরীমণি।