শিশুর গুণগত শিক্ষা ও বিকাশে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সরকার ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশে সমন্বিত নীতি ২০১৩’ বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ অর্জন করছে। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সরকার বদ্ধপরিকর।

বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এসডিজি গোল ৪ এর গুণগত শিক্ষা ও শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের এসডিজি অর্জনে বিশ্বের যে তিনটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশু উন্নয়নে সপ্তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে’ অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, সিডিআরএফ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে গবেষণা, অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সাহায্যের মাধ্যমে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। সরকার শিশুর উন্নয়নকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে দুই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই প্রদান ও স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছে।

সরকার মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থা থেকে তিন বছর পর্যন্ত ১১ লাখ কর্মজীবী ও দরিদ্র্য মাকে ভাতা প্রদান করছে। শিশু দারিদ্র্য হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ও অতি দারিদ্র্যের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার।

আলোচনা পর্বে বক্তৃতা করেন চায়নার শিক্ষামন্ত্রী চেন বাওশেঙ্গ, কম্বোডিয়ার শিক্ষা ও যুবমন্ত্রী হ্যাঙ্গ চুওন নারন, লাওসের শিক্ষা ও ক্রীড়ামন্ত্রী ফট সিমালাভঙ্গ, নেপালের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণ গোপাল শ্রেষ্ঠ ও চায়না ন্যাশনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর রুরাল রিভাইটালেজেশনের মহাপরিচালক ওয়াং ঝেনঘপু।

কনফারেন্সের এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই সমৃদ্ধির জন্য শিশুদের ওপর বিনিয়োগ’। কনফারেন্সে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা, উন্নয়ন ও উত্তম চর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইসিডি, শিক্ষা ও এসডিজি বিষয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা কয়েকজন রিসোর্স পার্সন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।