কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউএনও’র মাস্ক প্রদান

যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক প্রদান করেছেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

সোমবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ- উজ- জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তীর হাতে মাস্ক তুলে দেন।

নিজে প্রেসক্লাব এসে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাক্স প্রদান করে আরও একটা সুনাম অর্জন করলেন। তাঁর এ মানবতার জন্য কেশবপুর প্রেসক্লাব ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন। দেশে করোনা ভাইারাস থেকে রক্ষা পেতে কেশবপুরের মানুষকে সুরক্ষার জন্য পরিকল্পনানুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন এম এম আরাফাত হোসেন।

জীবনের ঝুকি নিয়ে নিজে পায়ে হেটে জনপদের মানুষকে ভালো রাখতে, নিরাপদে রাখতে নিজ হাতে মাক্স পরিয়ে দিচ্ছেন। উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত দিন-রাত ছুটে চলেছেন কেশবপুরের জনগণকে ভাল রাখতে।

ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ীতে বাড়ীতে হাজির হচ্ছেন খাদ্য ও ঔষধ সহায়তা নিয়ে। করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যাক্তিদের শবদাহের জন্য একটা শক্তিশালী কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন গঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সাথে মিটিং-সিটিং করে তাদের নিয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করতেও দেখা গেছে তাঁকে।

জনপদের বিপথগামী জনগণকে এবং ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করছেন। আবার জনগনের নিকটতম বন্ধু হিসেবে কাজ করে চলেছেন তিনি। এগুলো সবই হলো মানবতাপ্রেমী কাজ। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। নিজের আত্মতৃপ্তিতে এইভাবে কাজ করে চললে অচিরেই উচ্চ পদে ধাবিত হতে পারেন।

কেশবপুর থেকে এইভাবে কাজ করে কেউ বিমুখ হননি। এহেন একজন সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমীক মানুষ আজ দেশের এই অসময়ে প্রয়োজন মনে করেন সচেতন মহল। অবশেষ তিনি জনগণকে জানাতে চান, শুধু প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে নয়, এবারে আমাদের কিছু করার পালা।

আমাদের অবহেলায় নিজেদের জীবন হারাচ্ছি। আর নয়, আসুন, আমরা এই ঈদের পরবর্তী সময় থেকে শপথ নিই, শতভাগ মাস্ক পরার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার এবং সময়মতো টিকা নেবার। এই মহামারীর শেষ হবেই, যদি আপনি-আমি চাই।