কিছু বিদেশি গণমাধ্যম সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করছে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করছে, যা কখনোই কাম্য নয়।

শনিবার দুপুরে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদানের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে কিছু অনলাইন পোর্টাল পরিচালিত হয়, যেগুলো ধারাবাহিকভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, অপপ্রচার চালায় ও অনেক সময় গুজবও রটায়।

একইসঙ্গে বিদেশি কিছু নামকরা গণমাধ্যমকেও আমরা দেখতে পাই, তারা দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ও অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিদেশি গণমাধ্যমের কিছু অনুষ্ঠান বিশেষত ‘ফোন ইন’ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফোন কল আনে, যাতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে বলে। এমন নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়া হয়, যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

আর সেই প্রতিবেদনকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই আমাদের কারো কারো সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। কিন্তু তাদের মূল লক্ষ্যই থাকে সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ ও সমালোচনা করা। এটা কোনো ভালো গণমাধ্যমের কাজ নয়।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সরকার দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করছে’ এ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। তাদের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা শোভা পায় না।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব শিক্ষিত মানুষ, ঢাকা কলেজে পড়াতেন, ছাত্রদলের সভাপতির বক্তব্য আর তার বক্তব্য এক হওয়া উচিত নয়। তার আরেকটু পড়াশোনা করে কথা বলা উচিত। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২২২৭ ডলার হয়েছে, যা ভারতের চেয়ে বেশি।

গত সাড়ে ১২ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে চারগুণ বেড়েছে আর ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণ। এগুলো মির্জা ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে না, যা খুবই আশ্চর্য ও দু:খজনক।