যশোরে টুনি শাওন হত্যা মামলার আসামি আটক, অস্ত্র-গুলি চাকু উদ্ধার

যশোর শহরের শংকরপুরে শাওন ওরফে টুনি শাওন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অভিরাজ শেখ ফিরোজ ওরফে গোল্ডেন ফিরোজকে সহযোগীসহ আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র গুলি ও চাকু ।

গোল্ডেন ফিরোজ শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলী আজিম শেখের ছেলে। তার সহযোগীর নাম নোবেল হোসেন (১৯)। সে শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে।

শনিবার ৭ আগস্ট দুপুরে যশোর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জাহাংগীর আলম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন, কোতয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান, ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২২ জুলাই রাতে শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ছোটনের মোড়ে শংকরপুর বাসটার্মিনলা কেন্দ্রীক আধিপত্যের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন আব্দুল হালিম শেখের ছোট ছেলে সন্ত্রাসী শাওন ওরফে টুনি শাওন। এই ঘটনায় নিহতের পিতা হালিম ওরফে তিলে মুন্সি কোতয়ালি থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

গোল্ডেন ফিরোজ এ মামলার অন্যতম আসামি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামানের নেতৃত্বে ডিবি ও কোতয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার ৭ আগস্ট বাগেরহাট ফকিরহাট উপজেলার আট্টিকি এলাকায় ফিরোজের বোনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যশোরের শংকরপুর বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ’-এর পেছনের বনির মায়ের একটি পচাঁ ডোবা থেকে পলিথিনে রাখা দড়ি দিয়ে বাঁধা একটি ওয়ান স্যুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

পরে অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত ঘটনায় গোল্ডেন ফিরোজের সহযোগী নোবেল হোসেনকে আটক হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, টুনি শাওন হত্যা মামলায় এই পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল আসামি বনিকে এখনো আটক করা যায়নি।