বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সুবিধা বাড়াতে সরকার জাতিসংঘে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে

abdul momen
ফাইল ছবি

দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা দল পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার জাতিসংঘে (ইউএন) প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা, দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে জুবায় মোতায়েন বাংলাদেশ প্রকৌশল নির্মাণ ইউনিট ও বাংলাদেশ মেরিন ফোর্সেস ইউনিট পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে পুলিশ ইউনিট মোতায়েন করেছে এবং তারা তাদের কাজ দিয়ে সুনাম অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সেনানিবাসে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা যেতে পারে।

মন্ত্রী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণকে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের মিশনে তাদের নিবেদিত ও দক্ষ সেবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

ইউএনএমআইএসএস সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট থেকে বন্দুক অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং তিনি দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের ইউএনএমআইএসএস এর ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি, ফোর্সেস কমান্ডার, মিশন চিফ এবং ইউএনএমআইএসএস’র ডেপুটি ফোর্সেস কমান্ডারের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইউএনএমআইএসএস-এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সেখানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মোমেন ইউএনএমআইএসএস-এ বিভিন্ন দলে মোতায়েন বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দক্ষিণ সুদান সফর করছেন, সেখানে পুরুষ শান্তিরক্ষীসহ বেশ কিছু বাংলাদেশী মহিলা শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: বাসস