২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বেনাপোলে আলোচনা অনুষ্ঠান

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরনে বেনাপোলে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১ টার সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শার্শা উপজেলা কমান্ড এর আয়োজনে বেনাপোল রেল সড়কে মুক্তিযোদ্ধা ভবনে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফার হোসেন। দোয়া ও আলোচানা সভায় বক্তারা বলেন সেদিন শুধু গ্রানেড হামলাই নয়, সেদিন শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয়টি গুলি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন, তাঁর শ্রবণশক্তি চিরদিনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া ওই হামলায় সেদিন ২২ জন নেতা কর্মী নিহত হয়। তাদের ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে থাকে বঙ্গববন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। নিহতদের স্মরনে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং তাদের আতœার শান্তি কামনা করা হয়। বক্তরা আরো বলেন শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য প্রায় ১৯ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সন্ত্রাসীরা। খালেদা

সরকারের আমলে এ বর্বর হামলা চালানো হয় বলেও তারা মন্তব্য করেন। সেদিন ওই নিহত ২২ জন এর মধ্যে নিহত হয় প্রায়ত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি ও তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মহিলালীগের সভানেত্রী আইভি রহমান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, উপস্থিত ছিলেন ডিহি ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম, লক্ষনপুর ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী, বেনাপোল ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম,

কায়বা ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বাগআঁচড়া ও গোগা ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কালু মিয়া, উলাশী ও শার্শা ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলার ৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।