প্রতিমাসে ৯ লাখ অবৈধ হ্যান্ডসেটের বৈধতার আবেদন

mobile lifestyle

দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারে প্রতিদিন ৩০ হাজার অবৈধ হ্যান্ডসেট যুক্ত হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতিমাসে এখানে যুক্ত হচ্ছে নয় লাখ অবৈধ হ্যান্ডসেট।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গত ১ জুলাই থেকে এনইআইআরের কার্যক্রম শুরু করে। মূলত অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই উদ্যোগ নেয়।

এতো বিপুল সংখ্যক অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিষয়ে কমিশন কি করবে তা নিয়ে কাজ করছে তারা। গত রোববার ২২ আগস্ট বিটিআরসির উদ্যোগে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহীতাদের নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

ওই শুনানিতেই বিপুল সংখ্যক অবৈধ হ্যান্ডসেট এনইআইআরে যুক্ত হচ্ছে বলে জানান কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম।

অবৈধ ফোন বন্ধের বিষয়ে আবুল আযম নামে এক গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক জানান, বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সেট আসছে বিধায় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার করা হয়েছে।

প্রতিদিন ১ লাখের বেশি সেট এনইআইআরে যুক্ত হয়, যার মধ্যে ৩০ ভাগ অবৈধ হ্যান্ডসেট। অক্টোবরে এনইআইআরের পরীক্ষামূলক সেবা বন্ধ হওয়ার পর অবৈধ সেটের বিষয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিটিআরসি জানিয়েছিল গত ১ জুুলাই থেকে যেসব নতুন হ্যান্ডসেট এনইআইআরে যুক্ত হবে তার মধ্যে যেসব হ্যান্ডসেট অবৈধ হলে গ্রাহককে জানানো হবে এবং তিন মাস সময় দেয়া হবে।

এই তিনমাস পরীক্ষামূলকভাবে হ্যান্ডসেটগুলো চলবে এবং পরবর্তীতে এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ১০০ কোটির বেশি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর নিবন্ধিত হয়েছে।

বিটিআরসি বলছে, নিবন্ধিত হ্যান্ডসেট ব্যবহারে কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই। অবৈধ নতুন কোনো হ্যান্ডসেট এনইআইআরে যুক্ত হলে তা নিবন্ধন পাবে না।

তবে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলোকে নেটওয়ার্কে সচল রেখেই এনইআইআরের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

যেসব হ্যান্ডসেটে বৈধ আইএমইআই নম্বর থাকবে না, ওইসব গ্রাহককে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাস ওই সেট নেটওয়ার্কে সচল রেখে পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ করা এবং বৈধ সেটের নিবন্ধনে ডিসেম্বরে বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় কোম্পানি সিনেসিস আইটি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানিয়েছিলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ সেট বন্ধের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শুরু হবে। এতে গ্রাহকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যা ও ভোগান্তিতে না পড়েন, সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। সূত্র: বার্তা ২৪