টেস্ট খেলতে চাইছেন না মুস্তাফিজ

বুধবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি হয়েছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে।

তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হয়েছে মোট পাঁচজন খেলোয়াড়। তবে সেখানে নাম নেই মুস্তাফিজুর রহমানের। অন্য দুই ফরম্যাটের চুক্তিতে থাকলেও টেস্টে নেই তিনি।

অথচ সবশেষ কয়েকটি টেস্ট সিরিজেও দলের সঙ্গে ছিলেন মুস্তাফিজ। লাল বলের ফরম্যাটে তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত কেন বোর্ডের?

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, করোনাভাইরাসের কারণে টেস্টে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে এই বাঁহাতি পেসারের।

টানা কোয়ারেন্টাইন বা জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে হাঁপিয়ে উঠছেন তিনি। এজন্য পাঁচদিনের ম্যাচ খেলতে চাইছেন না। আকরাম জানালেন, মুস্তাফিজ এখন টেস্ট খেলতে চাইছে না।

ও এখন টেস্টে আগ্রহী না খেলার জন্য। মুস্তাফিজ আমাদেরকে জানিয়েছে, যতদিন এই কোয়ারেন্টাইন বা জৈব সুরক্ষা বলয় আছে টেস্টে ওর মনোযোগ দেওয়া কঠিন বিধায় ও এখন টেস্ট খেলতে চাচ্ছে না।

তবে মুস্তাফিজের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবে নিয়ে বিসিবি, এটা আমরাও খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। যেহেতু সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে আমাদের জন্য,

তো আলাপ-আলোচনা করেই আমরা এটা করেছি। গতবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল বিসিবি, সেটি ছিল টেস্ট ও সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য আলাদা।

তবে এবার ভিন্ন পথে হেঁটেছে বোর্ড। তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি করেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এর কারণও ব্যাখ্যা দিলেন আকরাম।

আকরাম জানান, এটার কারণটা হলো অনেকেই শুধু টি-টোয়েন্টি খেলছে। যেমন নাসুম আছে, পাটোয়ারী (শামীম) আছে। এজন্য এবার আমরা তিন ফরম্যাট আলাদা করেছি।

আগে ছিল সাদা বল, সাদা বল মানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি যারা খেলবে তারাই একই চুক্তিতে। সঙ্গে যোগ করেন আকরাম খান, এবার আমরা পার্থক্য রেখেছি পারফরম্যান্সের জন্য।

যেন খেলোয়াড়দের ভেতর জিনিসটা কাজ করে, টি-টোয়েন্টি থেকে ওরা যদি টেস্টে যায়, তাহলে স্যালারিটা অনেক বেশি,‌ কেউ যদি ওয়ানডেতে যায় তখনও বেশি। তো এই পার্থক্যটা আমরা জেনে-বুঝেই করেছি যেন খেলোয়াড়রা পারফর্ম করে অন্য ফরম্যাটে চলে আসে।