আফগান ইস্যুতে বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধাক্কা

baiden

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম বাইডেনের জনপ্রিয়তা সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

এক ধাক্কায় জনপ্রিয়তা কমেছে ৪৩ শতাংশ। যা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জনপ্রিয়তার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলেই দাবি করা হচ্ছে।

মেরিস্ট ন্যাশনাল পল নামে একটি সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায়। আফগানিস্তান থেকে সেনা তুলে নেয়ার পর থেকেই বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিন সমাজ। বাইডেন ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নাকি এটা করা উচিত হয়নি, এ নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছে মেরিস্ট পল। খবর রয়টার্সের।

সমীক্ষায় দেখা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানই বাইডেনের বিদেশনীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। সমাজের একটা বড় অংশ আবার এটাকে দেশটির ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন।

৫৬ শতাংশ মানুষ যেমন বাইডেনের বিদেশনীতিকে দায়ী করেছেন, তখন আবার ৬১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা তোলা উচিত হয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ আবার এই ঘটনাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা’ বলে মনে করেছেন।

তবে ৬১ শতাংশ মানুষ আবার জানিয়েছেন, তারা মনে করেন মার্কিন সাহায্য ছাড়াই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়া প্রয়োজন আফগানিস্তানের। তবে ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সামলানো আমেরিকার ‘কর্তব্য’।

আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রে? এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সমীক্ষায় দেখা যায়, ৩৭ শতাংশ মানুষ সেনা ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে সমর্থন করেছেন। ৩৮ শতাংশ বলেছেন, কিছু সেনা আফগানিস্তানে রাখা উচিত ছিল। ১০ শতাংশ বলেছেন, সেনা সরিয়ে নেয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ৫ শতাংশ বলেছেন আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠানো উচিত।

বাইডেনের বিদেশনীতির বিরুদ্ধে মত দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর জন্য সম্পূর্ণভাবে তাকে দায়ী করেননি। এর জন্য দেশটির সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশই (৩৬%) জর্জ বুশের সেনা অভিযানের ‘ব্যর্থ’ নীতিকেই দায়ী করেছেন। ২১ শতাংশ দায়ী করেছেন জো বাইডেনকে, ১৫ শতাংশ বারাক ওবামাকে এবং ১২ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।