যশোরে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা ও সহায়তা করার অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের পিতা মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুন্না (৪৫) বাদি হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার
মামলা করেন।
মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা একজনকে আসামি করা হয়। আসামি হচ্ছে বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাবলু হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (২২)। পুলিশ ইব্রাহিমকে আটক করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি বাদির বড় মেয়ের জামাই। ৫ সেপ্টেম্বর রোববার ঘটনার শিকার শিশু ও তার ভাই সাকিব আসামি ভগ্নিপতির বাড়ি বেড়াতে যায়। ভগ্নিপতির বাড়ি ছোট বোনকে রেখে ভাই বাড়ি চলে আসে।
বিকালে ভাই বোনকে আনতে আবার ভগ্নিপতি বাড়ি যায়। কিন্তু ভগ্নিপতি আসামি ইব্রাহিম বলে তুমি চলে যাও আমি পার্কে ঘুরিয়ে তোমার বোনকে বাড়ি দিয়ে আসবো।
আসামির কথা মতো সাকিব বাড়ি চলে যায়। আসামি ইব্রাহিম স্ত্রী সুমাইয়া ও তার ছোটবোন ঘটনার শিকার শিশুকে পার্কে ঘুরিয়ে সুমাইয়াকে বাড়ি রেখে শিশুকে বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে রওনা হয়।
বিকাল আনুমানিক সোয়া ৬ টার দিকে ইব্রাহিম ও অজ্ঞাত নামা আসামি বাহাদুরপুর গ্রামস্থ মোহাম্মাদিয়া হাউজিং প্লটের লিচু বাগানে নিয়ে যায়।
এরপর তারা শিশু মেয়েটির দু-হাত পা রশি দিয়ে বেধে মুখে কাপড় চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এতে ওই শিশুটির গোপনাঙ্গ দুই উরু ও মুখে জখম হয়।
ঘটনার সময় শিশু মেয়েটি গুংরাইতে থাকলে আসামি ইব্রাহিম ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ইব্রাহিম তাকে বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়।
পরে অসুস্থ শিশু মেয়েটিকে হাসপাতারে ভর্তি করা হয়। কোতয়ালি থানার দারোগা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাব্বির হাসান জানান ঘটনার রাতেই আসামি ইব্রাহিমকে আটক করা হয়েছে।
