বাংলাদেশ-ওমানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ার সুযোগ রয়েছে

abdul momen
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ও ওমানের পারস্পরিক স্বার্থে বাণিজ্যে সবোর্চ্চ সুবিধা লাভে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, গত দশকে বাংলাদেশ-ওমানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়েছে, তবে খুবই সামান্য। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো ও বাণিজ্য পণ্য বহুমুখীকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে।

মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তি উৎযাপন উপলক্ষে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ ওমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীষর্ক এক ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মৎস্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মতো আন্তর্জাতিক মানের পন্য ইউরোপ,

যুক্তরাষ্ট্র, সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি করছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়িরা আরও অধিক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অধিকাংশ পণ্য ওমানে রফতানি করার ব্যাপারে আশাবাদী।

মোমেন বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করতে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারনের জন্য প্রয়োজন দু’দেশের বেসরকারি সেক্টর ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা । এ জন্য আমাদের প্রয়োজন বি-টু-বি আলোচনা ও দু’দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সফর বিনিময় করা প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসাবন্ধব পরিবেশের সুবিধা নিতে এ দেশে বিনিয়োগ করার জন্য ওমানের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ওমান ঢাকাসহ সারাদেশে হাইটেক পার্কে হোটেল, আবাসিক ও শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লুইকনোমি, জাহাজ ভাঙ শিল্প, জ্বালানি ও বিদ্যৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে তাদের ভূমি দেওয়ার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি শেখ খলিফা আলহার্থিও বক্তব্য রাখেন।