দেড় বছর পর সীমান্ত খুলছে অস্ট্রেলিয়া

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। দীর্ঘ দেড় বছর পর নভেম্বর থেকে এ বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হচ্ছে।

এর মাধ্যমে দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ানরা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও ছিল। এমনকি ওই সময় নিজের নাগরিকদের দেশের বাইরে যাওয়ারও অনুমতি দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।

করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ পদক্ষেপ প্রশংসা পায়। তবে অন্য দেশে অবস্থান করা অনেকের পরিবারের সদস্য সীমান্ত বন্ধের কারণে গত দেড় বছর দেশে ঢুকতে পারেনি। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়ে অস্ট্রেলীয় সরকার।

শুক্রবার প্রেস ব্রিফিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, সীমান্ত খুলে দেয়ায় জনগণ আগের স্বাভাবিক সময়ে ফিরে যেতে পারবে। তিনি জানান, প্রদেশগুলো তাদের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনা প্রতিরোধী টিকা দিতে পারলে মানুষ ভ্রমণও করতে পারবে।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশিরা এখনই দেশে আসতে পারবেন না। তবে শিগরিগরই তাদের স্বাগত জানানো হবে। গত দেড় বছর ধরে প্রয়োজনীয় কাজ বা মুমূর্ষু স্বজনদের দেখতে যাওয়ার মতো ব্যতিক্রমী কারণে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মরিসন আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন, যাতে প্রতি ভ্রমণকারীর ১৬০০ থেকে ২১০০ ডলার খরচ হয়, তা ধীরে ধীরে তুলে দেয়া হবে। এর পরিবর্তে টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের বাড়িতে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।