আমরা যেন সরকারকে শক্তিশালী মনে না করি: গয়েশ্বর

Goyessor Ray

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা বর্তমান সরকারকে যেন শক্তিশালী মনে না করি। আমাদের শুধু একসঙ্গে বলতে হবে- এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। আজকে সবার ঐক্য দরকার, সবার একমত হওয়া দরকার যে, এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করা।

গণতন্ত্র উদ্ধার না হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা সব স্বাধীনতাই হরণ হয়। আর যখন বলার পথ রুদ্ধ হয় তখনই কিন্তু অন্য কিছু আসে যা মানুষ পছন্দ করে না।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে একটি ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন নেই, আছে শেখ হাসিনার শাসন।

তাদের দলের মধ্যে টুকাটুকি কানাঘুষা চলছে শোনা যায়। শুনতে পাচ্ছি গত পরশু তাদের ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়েও চড়থাপ্পর বিনিময় হয়েছে। গণমাধ্যমে আসেনি। দলের মধ্যেই যখন এই অবস্থা সেখানে আমার আপনার দরকার নেই। তারা তারাই যথেষ্ট।

নেতাকর্মীদের ঝাঁড়ু নিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের একটা ‘আনক্লীনড ব্যাম্বো’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। এখন আমাদের সেই বাঁশের লাঠি নিয়া আন্দোলন করতে হবে। আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রী মাইন্ড করবেন না।

আমাদের এখানে নারী নেত্রী বিলকিস যদি ঝাঁড়ু নিয়া নামেন-এটাই এনাফ। এর বেশি কিছু লাগবে না আমার মনে হয়। দেশের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে সরকার এবং রাষ্ট্র দুই শব্দ যে আলাদা এই সরকার তা বুঝতে চায় না।

আজকে প্রশাসনিক রোলারদের মতো তারা বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন, পরিচালিত করছেন। বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার ন্যুনতম সুযোগটা কিন্তু দণ্ডনীয় অপরাধ। নৈতিকভাবে কোনো আইনে তারা এটা পারে না।

কিন্তু মন্ত্রীরা যখন বক্তৃতা দেয়, পরের দিন যদি কোনো বিচারের জাজমেন্ট হয়- দেখা যায় মন্ত্রীদের কথা হুবহু সেটাতে আছে। তার মানে ওমুক অ্যারেস্ট হবে, অমুকের ফাঁসি হবে, অমুকের জেল হবে, দেখবেন জাজমেন্টটা তেমন হয়।

তার মানে কী ? কোনো সাবজুডিস বিষয়ে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যদি কথা বলে সেখানে আদালত প্রভাবিত হতে পারে। সাবজুডিস বিষয় কথা বলা নিষিদ্ধ। কিন্ত তারা এটা অনবরত করে যাচ্ছে।