মন্ত্রী এমপির মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত: নোবেল

ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল। এরপর থেকে শুধু বিতর্কেই জড়িয়েছেন তিনি। বিতর্কিত এই গায়ককে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল।

গত ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলের ঠিকানায় তিনি ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছেন। বুধবার ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালসাবিল নিজেই। এদিকে ডিভোর্স নোটিশ পেয়ে বরং খুশিই হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন কয়েক মাস আগে তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল।

স্ত্রীর পাঠানো ডিভোর্সের নোটিশ তালাকের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নোবেল গণমাধ্যমকে জানান, ওকে (সালসাবিল) ভালোবেসে বিয়ে করেছি বলে ছাড়তে পারিনি। সে এবার আমাকে তালাকানামা পাঠিয়েছে, আমি পেয়েছি। কিন্তু স্বাক্ষর করবো না। তিনমাস পর এটা এমনি এমনিই কার্যকর হয়ে যাবে।

এদিকে স্ত্রীর করা অভিযোগ নাকচ করে নোবেল বলেন, সালসাবিল মিথ্যাবাদী। ওর বিষয়ে আমি আর মাথা ঘামাতে চাই না। সে টাকার বিনিময়ে আমাকে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা করে আমার জীবনে এসেছে।

ও চলে যাচ্ছে আমি আমার জীবন নতুন করে সাজাবো। ওর চেয়ে সুন্দরী ও ভালো মেয়ে বিয়ে করবো। এমপি মন্ত্রীর মেয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত আমাকে। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সালসাবিল।

আমার ক্যারিয়ারের ধ্বংস করতে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে সে। সব সময় আমাকে মানসিক যন্ত্রণায় রেখেছে, যাতে আমি গান গাইতে না পারি। কনসার্ট করতে না পারি। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সালসাবিলও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, যদিও আমার পাঠানো ডিভোর্স লেটারটায় সাইন দেয়া হয়েছে কিনা, তা আমি এখনও জানি না। একটা ডিভোর্স অথবা সংসার ভেঙে যাওয়া কখনোই সুন্দর কিছু না। তারপরও আমি নোবেলের সার্বিক সুস্থতা কামনা করি এবং তার ভবিষ্যতের জন্য আমার তরফ থেকে সবসময় দোয়া থাকবে।

এর আগে, বুধবার ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমকে ডিভোর্সের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালসাবিল বলেন, নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত, নারীনেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। সবকিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে আমি তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।