আবারো বাড়লো এলপি গ্যাসের দাম

বেসরকারি খাতে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

মুসকসহ প্রতি কেজি ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। গত মাসে কেজি প্রতি বোতলজাত এলপিজির কেজি প্রতি দাম ছিল ৮৬ টাকা ৭ পয়সা।

অর্থাৎ এখন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার পেতে খরচ হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা। একইসঙ্গে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস বা অটোগ্যাসের দাম ৮ টাকা ১২ পয়সা বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি গত মাসে ছিল ৫০ টাকা ৫৬।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিইআরসির কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে চলতি মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মো. বজলুর রহমান ও মো.কামরুজ্জামান। এ ছাড়া নতুন মূল্যহার অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত এলপিজির দাম কেজি প্রতি ১৭ টাকা ৯১ পয়সা বাড়িয়ে ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা করা হয়েছে।

এটি গত মাসে ছিল কেজি প্রতি ৮৩ টাকা ৭৭ পয়সা। বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেটিকে ধরেই দেশে যথাযথভাবে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। অপারেটররা নিশ্চয়ই এটি কার্যকর করবেন।

সৌদি সিপি বা কন্ট্রাক্ট প্রাইস অনুযায়ী গত আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে এলপিজির কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৬৬০ থেকে বেড়ে ৮০০ এবং ৬৫৫ থেকে বেড়ে ৭৯৫ ডলার হয়েছে। মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় অক্টোবরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হলো।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে ফের গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।