যশোরে যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে মামলা

mamla rai

যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক গোলপাতা মসজিদের পাশে সুরাইয়া আক্তার মেঘলাকে যৌতুকের জন্য মারপিটের করে ঘরে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পিটিশন মামলাটি আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী থানার ওসি মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক গোলপাতা মসজিদের পাশের মৃত রমজানের ছেলে জুম্মান, জুম্মানের ছেলে রনি, জুম্মানের মেয়ে মোছাঃ রুমা, জুম্মানের স্ত্রী পারভীন বেগম,

মৃত সাত্তারের ছেলে আজগর, আজগরের স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম ও মৃত সাত্তারের স্ত্রী মোছাঃ সকিনা বেগম। যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া শাজাহান ও লতিফুল বেগমের মেয়ে লিমা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বাদি বলেছেন, আসামী জুম্মানের ছেলে রনি চাঁচড়া রায়পাড়ার রেজাউল ইসলামের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার মেঘলার স্বামী।

বাকীরা রনির আত্মীয়স্বজন। আসামীরা সকলে যৌতুক লোভী। অত্যাচারী। বাদির বড় বোনের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার মেঘলার কাছ থেকে আসামী রনি যৌতুক দাবি করে গত ২৯ অক্টোবর সকাল থেকে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায় ঘরের মধ্যে আটক রেখে বাদির নিকট রনি সংবাদ পাঠায় তার বোনের মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

সংবাদ পেয়ে বাদি সহযোগী সীমা আক্তার, মোছাঃ খোদেজা বেগমকে সাথে নিয়ে রনিদের বাড়িতে বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে যান। রনি কাছে সুরাইয়া আক্তার মেঘলা কোথায় বলে জানতে চান। রনি ও জুম্মান বাদিকে মেঘলা যে ঘরে আছে তা দেখিয়ে দেয়।

রনি ও জুম্মানের দেখানো ঘরে দরজা খুলে ঢোকার সাথে সাথে আসামীরা হাতে ছুরি, চাকু, দা নিয়ে বাদি ও তার সহযোগীদের পিছু পিছু ঐ ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর বাদিসহ তার সহযোগীদের মারপিট করে।

রনি বাদিকে ধরে রাখে জুম্মান দস্তার কড়াই দিয়ে বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার বাম পাশের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মারপিটের পর আসামীরা হুমকী ধামকী দেয় এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে খুন জখম করবে।

সুরাইয়া আক্তার মেঘলা ও কাজী আশরাফুলের স্ত্রী সীমা আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।