এমপি নাবিল আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার ঘটনায় মামলা

যশোর-৩ আসনের (সদর) এমপি কাজি নাবিল আহমেদের সীল স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উপশহর আলীম মাদ্রাসার তিন সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি তৈরি করে চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড বকসীবাজার ঢাকা বরাবর এডহক কমিটির সভাপতি শওকত হোসেনের মনোনয়ন চেয়ে তালিকা জমা দেয়া ও উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করার অপরাধে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।

যশোর শহরের ঘোপ জেল রোডের মৃত এ কে এম কাশেমের ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যশোর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বাদি হয়ে সোমবার ১৫ নভেম্বর মামলা করেন।

মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের বর্তমানে ৮৯২ পূর্ব বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা জনৈক গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহাবক্স বিশ্বাসের ছেলে (সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ) জাকারিয়া হোসেন ৫১) নতুন উপশহর রজনীগন্ধ্যা ১৪ নং ভবন

৮ম তলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে নুরুল ইসলাম (৬০) ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া গ্রামের যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে উপশহর আলীম মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক আব্দুল ওহাব (৪৫) ও সদরের চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে উপশহর আলীম মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী মফিজুর রহমান (৪৩)।

মামলায় বাদি মিলন উল্লেখ করেছেন, তিনি চলতি বছরের ১৮ আগস্ট থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য উপশহর আলীম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে পূর্বশত্রæতা ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজস করে উপশহর আলীম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়ন প্রসঙ্গে একটি মনগড়া সুপারিশ মালা তৈরি করে।

সুপারিশ মালায় যশোর-৩ (সদর) আসনের এমপি কাজি নাবিল আহমেদের সিল ব্যবহার করে তার সহি জ¦াল করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটির তালিকা তৈরি করে। ওই তালিকা গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরা এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে শওকত হোসেনের মনোনয়ন চেয়ে জমা দেয়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ওই এডহক কমিটির অনুমোদন দেয় না।

দীর্ঘদিন কমিটি ছাড়া মাদ্রাসার কার্যক্রম চলতে থাকে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাকারিয়া হোসেন সাময়িক বরখাস্ত থাকার কারণে জৈষ্ঠ প্রভাষক (আরবী) হিসেবে নজরুল ইসলাম মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়।

তিনি দায়িত্ব পালনকালে মূল অদ্যক্ষ না থাকার এক পর্যায়ে মাদ্রাসার শিক্ষার অবন্নতি হওয়ায় এমপি কাজি নাবিল আহমেদের সুপারিশ মালায় (ডিও লোটারে) মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আমাকে এডহক কমিটির সভাপতি অনুমোদন প্রদান করে। তারপর থেকে আমি সুনামের সাথে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

সমাজে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষে মাদ্রাসা বহিভূত জামাত নেতা আসামি নুরুল ইসলাম আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে এমপির ডিও লোটার ও সীল স্বাক্ষর জাল করে আমার নামে হাই কোর্টে রিট পিটিশন করে। যার নাম্বার- ৯৮১৬/২০২১। বিষয়টি এমপি কাজি নাবিল আহমেদ আসামিদের
বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার জন্র আমাকে ক্ষমতা অর্পন করেন।