২ ডিসেম্বর থেকে চলবে বেনাপোল এক্সপ্রেস

রেলপথে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যশোরের বেনাপোল রুটে চলাচলকারী একমাত্র ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ফের চালু হবে ২ ডিসেম্বর থেকে। করোনা মহামারির কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আবারো চালু করা হচ্ছে ট্রেনটি। জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সব ট্রেন বন্ধ হলে ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তনগর এ ট্রেনটি বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে বেশ কিছু দিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও চালু হয়নি ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’।

ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল ভারত যাতায়াতকারী অসুস্থ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। বেনাপোল এক্সপ্রেস চালুর দাবি তোলেন অনেকেই। বেনাপোল চেকপোস্ট বাজার কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২ ডিসেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস আবারও চালু হচ্ছে। এতে আমরা সবাই খুশি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব জানান, সড়ক পথের বেহাল দশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। সাধারণ সময়ে দিনে ১০ হাজার পর্যন্ত যাত্রী বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

তবে বর্তমানে করোনার কারণে প্রতিদিন যাত্রী সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি নেমে এসেছে। এই যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ ভারতে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নিতে।

ট্রেন না থাকায় এই যাত্রীদের বাড়িতে ফেরার জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেরিতে হলেও ট্রেনটি আবারও চালু হচ্ছে। এতে ভোগান্তি কমবে।

বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে বাসে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। সড়কে যানজট বা আবহাওয়া খারাপ হলে অনেক সময় দ্বিগুণ সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে ট্রেনে নির্বিঘ্নে মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যায়।

সপ্তাহে একদিন বুধবার বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে যায় ঢাকায় এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসে বেনাপোল এক্সপ্রেস। বেনাপোল থেকে ঢাকায় যাত্রীপ্রতি এসিতে ভাড়া ১১১৬ টাকা, ননএসিতে ৪৮৫ টাকা। ঢাকা থেকে এসি স্লিপার ভাড়া ১৭৮১ টাকা, ননএসিতে ৪৮৫।

সূত্র: সমকাল।