সীমান্ত হত্যা নিয়ে মন্তব্য করায় অপর্ণা সেনকে আইনি নোটিশ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানানোর পর অভিনেত্রী ও নির্মাতা অপর্ণা সেনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ভারতের আইনজীবী পৃথ্বীশ দাস।

অপর্ণাকে আইন নোটিশ পাঠানো ওই আইনজীবীর অভিযোগ, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে অসম্মান করেছেন অপর্ণা সেন। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে গত ১৬ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কলকাতার ১৮টি মানবাধিকার সংগঠন।

বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) উদ্যোগে কলকাতা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অপর্ণা সেন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মলয় সেনগুপ্ত, নাট্য পরিচালক সোহাগ সেন, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিআইএমএল নেতা কার্তিক পাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে সীমান্তে যেসব মানুষকে বিএসএফ হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা বলেন, বিএসএফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। সীমান্তের ভেতরে ঢুকে নিরীহ সীমান্তবাসীকে হত্যা করা নয়।

এ সময় তারা বলেন, বিএসএফ যদি সীমান্তের হত্যালীলা বন্ধ না করে, তাহলে রাজ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সংবাদ সম্মেলনে অপর্ণা সেন বলেন, সবার আগে বলা দরকার, ১৯৪৫ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল বর্ডার পিলার থেকে দেড় শ গজ দূরে থাকবে কাঁটাতারের বেড়া বা দেওয়াল।

কিন্তু সেগুলো বাড়তে বাড়তে অনেক জায়গায় এরই মধ্যে ৬ কিলোমিটার, অনেক জায়গায় ১২ কিলোমিটার হয়ে গেছে। বিএসএফের এখতিয়ার বৃদ্ধি পেলে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে যুক্তি দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অপর্ণা সেন বলেন, চোরাচালানের কথা বলা হলে, বর্ডার পিলার থেকে যদি কাঁটাতার এতটা দূরে থাকে তাহলে তো চোরাচালান চলবে। বিএসফের উচিত আইবিপি-র কাছাকাছি থাকা। তারা যদি ৫০ কিমি ভেতরে চলে আসে তাহলে ওদিকে কী হচ্ছে, তা কী করে আটকানো যাবে। মাথায় ঢুকছে না।