হার দিয়ে পাকিস্তান সিরিজ শুরু টাইগারদের

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৪ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। অতিথিরা জয় ছিনিয়ে নিলো চার বল হাতে রেখেই। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আমিনুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের এই সময়ের সেরা ক্রিকেটার ও অধিনায়ক বাবর আজমকে বোল্ড করেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি হায়দার আলী। তাকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মেহেদি হাসান। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কুল ছাত্রের মতো হাস্যকর রান আউট হন শোয়েব মালিক।

চার দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাওয়া পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ক ক্রিজের বাইরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন, এই সুযোগে বাংলাদেশ দলের তরুণ উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান দারুণ এক থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন। ৫.৬ ওভারে দলীয় ২৪ রানে ফেরেন শোয়েব মালিক।

৩ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ দলে শুরুতেই আঘাত হানেন পাকিস্তানের তারকা পেসার হাসান আলী। তার গতির বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

এরপর পাকিস্তানের তরুণ পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া সাইফ হাসান।

পঞ্চম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসেই দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন ওয়াসিম। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন পাকিস্তানের ২০ বছর বয়সী এ তরুণ পেসার।

১৫ রানে নাঈম শেখ, সাইফ হাসান ও শান্তর উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৮.৬ ওভারে দলীয় ৪০ রানে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সরাসরি বোল্ড করে দেন পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ।

শুরুতে নিয়মিত উইকেট পতনের কারণে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তবে আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদীর ঝড়ো ইনিংসে শেষ ১০ ওভারে ৮৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ।

লেগ স্পিনার শাদাব খানের শিকারে পরিনত হওয়ার আগে দলের হয়ে ৩৪ বলে দুই চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে ফেরেন আফিফ। ১৬.৫ ওভারে দলীয় ৯৬ রানে আউট হন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নরুল হাসান সোহান। তার আগে ২২ বলে ২টি ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি।

ইনিংসের শেষ দিকে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। ২০ বলে এক চার আর ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ি দলের স্কোর ১২৭/৭ করেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ১২৭/৭ রান (আফিফ হোসেন ৩৬, মেহেদি হাসান ৩০, নুরুল হাসান সোহান ২৮; হাসান আলী ৩/২২, মোহাম্মদ ওয়াসিম ২/২৪)।

ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।