প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ

সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১২ ঘণ্টা না পেরোতেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় বুধবার সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও অর্থমন্ত্রী ম্যাগডালেনা।

মূলত তার সরকারের ওপর থেকে জোট সঙ্গী গ্রিন পার্টির সমর্থন প্রত্যাহার ও পার্লামেন্টে বাজেট অনুমোদন করাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় ম্যাগডালেনার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

পদত্যাগের পর ম্যাগডালেনা বলেন, জোট সরকারের ওপর থেকে কোনো দল সমর্থন তুলে নিলে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। এটাই সুইডেনের সাংবিধানিক নিয়ম। এই নিয়ম মেনে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছি।

তবে শিগগিরই আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি স্পিকারকে বলেছি, পদত্যাগ করছি। তবে একক দলের নেতা হিসেবে সরকারপ্রধানের পদে দ্রুত ফিরে আসবো।

গত ১০ নভেম্বর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন পদত্যাগ করেন। ২০১৪ সাল থেকে গ্রিন পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি।

সুইডিশ পার্লামেন্টের ১১৭ জন সদস্য ম্যাগডালেনার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ৫৭ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ১৭৪ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। সুইডেনের ব্যবস্থার অধীনে একজন প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থীর জন্য সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না।

তাদের সামনে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকাটাই দরকার। ম্যাগডালেনা ভোটতদানে বিরত থাকা এবং অনুপস্থিত একজনের হিসেবে ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৫৪ বছর বয়সী ম্যাগডালেনা চলতি মাসের শুরুতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। বুধবারের ভোটে তাকে সমর্থনের বিনিময়ে পেনশন বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার বাম দলের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন তিনি।

তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের জোট অংশীদার গ্রিনস এবং পাশাপাশি সেন্টার পার্টির সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ম্যাগডালেনার উত্থাপন করা বাজেট অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানান গ্রিন পার্টির সদস্যরা।

বিরোধের এক পর্যায়ে তারা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। এর জেরে সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।