খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে : ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে এবং পিজি হসপিটালে চিকিৎসা হয়নি এই কারণে তার এ অবস্থা। তিনি গত ২৬ যাবত আইসিইউতে রয়েছেন। অনতিবিলম্বে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন তিনি যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তখন তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বারবার বলার পরে চিকিৎসার জন্য বোর্ড করা হয়েছে, সেই বোর্ড থেকেও চিকিৎসা হয়নি।

বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যখন সেখানে যান এবং তাদের সুপারিশক্রমে পিজিতে নিয়ে আসা হয়, তখন অলরেডি অনেক দেরি হয়ে গেছে।

দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ একটাই। খালেদা জিয়ার হচ্ছেন একমাত্র রাজনীতিক, যিনি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বর পক্ষে কথা বলেন।

এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বর জন্য জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি গণতন্ত্রের জন্য তার সমস্ত জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। খালেদার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্ত হবে না। দেশনেত্রী সুস্থ না হলে আমরা সুস্থ হবো না।

সরকারের কাছে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করুন।

সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আইনের কথা বলেন, কেন মানুষকে বোকা বানাতে চান? ৪০১ ধারার যে আইনে তাকে আটকে রেখেছেন, সেই ধারায় শর্ত দিয়েছেন তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

ঐ শর্তটা আপনার তুলতে পারেন, আর কেউ তুলতে পারবে না। ঐ শর্ত তুলে নেন এবং তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে তার পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে, কোনো অঘটন ঘটলে এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।