শৈলকুপায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকাপা উপজেলায় আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারনায় সংঘর্ষ, প্রচার কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শৈলককুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের মীনগ্রামে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তার আহমেদ মৃধার বিরুদ্ধে।

আবাইপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তার আহমেদ মৃধার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন বিশ্বাস।

এলাকাবাসী জানান, হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস মীনগ্রামে আজই তার নির্বাচনী অফিস চালু করেন। সন্ধ্যায় মুক্তার আহমেদ মৃধার ছেলে সুমন মৃধার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫জন রামদা ঢাল সুড়কি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দীন বিশ্বাসের অফিসে।

এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা তাদের অবরুদ্ধ করে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ভাঙচুরের পর হাটফাজিলপুর ও আবাইপুর বাজারে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে হাটফাজিলপুর বাজারে দুই গ্রæপ মুখোমুখি হয়।

ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর আগে মীনগ্রাম বাজারের পাশে একটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস জানান, আমি মঙ্গল বার সকাল থেকে নির্বাচনের কাজ করে বেড়াচ্ছি। বিকালেন দিকে হাট ফাজিলপুর বাজারে নির্বাচনি অফিসে কাজ করার সময় মুক্তার আহমেদ মৃধার ছেলে সুমন মৃধার নেতৃত্বে তাদের লোকজন দা, রামদা, লাঠি নিয়ে বার বার আমাদের দিকে ধেয়ে আশে।

এসময়তাদের মধ্যে থেকে একটি ছেলে আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে চেষ্টা করে। সেখানে তারা র্ব্যাথ হয়ে পরে সন্ধায় মীনগ্রামে আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে।

এসময় অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়। তিনি জানান এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া
হচ্ছে। এ বিষয়ে মুক্তার আহমেদ মৃধার মোবাইলে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শৈলকুপা থানার ভার প্রাপ্ত কর্ম কর্তা (ওসি) রফিকুল জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আমরা মামলা নেব। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।