ফেসবুকে ব্যস্ত থাকা নিয়ে অশান্তি, স্ত্রীকে খুন করে পালালো স্বামী!

হাওড়ার চ্য়াটার্জি হাটে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক দম্পতির মৃতদেহ। ঘরের মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর দেহ। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর মৃতদেহ। দম্পতির বড় মেয়ের দাবি, মা সবসময় ফেসবুকে ব্যস্ত থাকতো। এনিয়ে অশান্তি হতো বাবার সঙ্গে।

রবিবার দুপুরে ১২/২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের এক ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় ওই দম্পতির মৃতদেহ। তাদের দুই মেয়ে এদিন আড়াইটে নাগাদ ড্রয়িং ক্লাসে গিয়ে ফিরে এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কলিং বেল বাজিয়েও দরজা খোলেনি কেউ।

এরপর পুলিশে খবর দিলে দরজা ভেঙে দেখা যায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মৌসুমী মাইতি। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গৌতম মাইতি।

পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ায় একটি পানশালায় ম্যানেজারের কাজ করতেন গৌতম বাবু। বছর তিনেক আগে সপরিবারে চ্যাটার্জি হাট এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। দুই মেয়ে হাওড়ার একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে নবম ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।

পুলিশ ও প্রতিবেশীদের অনুমান স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম বাবু। মৌসুমী দেবীর বড় মেয়ে সংবাদমাধ্যমে জানায়, মা মোবাইলে ফেসবুক দেখতো। যেমন অনেকে করে, ফেসবুক স্ক্রল করে যেত। এনিয়ে বাবার প্রবল আপত্তি ছিল।

বাবা বলতো তুমি ফেসবুক দেখবে না। ফোন ঘাঁটবে না। মেয়েদের পড়াবে। মা সবই করতো। তার পরেও হয়তো বাবার কোনও প্রবলেম ছিল। প্রতিবেশী পিন্টু মণ্ডলের দাবি, সবটাই শোনা কথা। ভদ্রলোক সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন।

হোটেলে চাকরি করতেন। স্ত্রী সম্ভবত সোশ্য়াল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এনিয়ে সবার বাড়িতে যেমন হয় তেমনটাই হয়তো হতো। ওনার মেয়েও একই কথা বলছে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এমন মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে মনোবিদ সহেলী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও বিষয় তো তদন্ত সাপেক্ষ।

তবে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে বাড়িতে আশান্তি হয়। অনেক স্ত্রীই বলে কথা বলব কী সে হয়তো ফোনে ব্যস্ত। তবে সেটাই এই খুনের কারণ কিনা তা অবশ্য তদন্ত সাপেক্ষ। তবে অশান্তির পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিক।