স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মহামারি করোনা ও ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসেবে করোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে।
তবে এই ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, যাদের মৃদু সমস্যা রয়েছে তারা এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন।
শনিবার ১ লা জানুয়ারি বিকেলের দিকে মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে বুস্টার ডোজ টিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে।
এতে করে আশা করা যায়, আগামী এপ্রিল-মে বাসের মধ্যেই আমরা সাড়ে ১২ কোটি জনগণকে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে পারবো।
দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিকা দেয়ার জন্য নতুন আরও ছয় কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দিনে ওমিক্রনে যুক্তরাজ্যে এক লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে। আমাদের দেশে এই অবস্থা আমরা চাই না। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রাথমিকভাবে মাস্ক আমাদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাবে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা কঠোরতা অবলম্বন করব।
আপাতত সরকারের লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমরা চাই পরিস্থিতির উন্নতি হোক।
করোনার মুখে খাওয়ার প্রতিষেধক রেটিনোভি ও নির্মাট্রেলভি বাজারজাত করণের জন্য ৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো বাজারজাত করতে সমর্থ হয়েছে।